নাসিমুজ্জামান সুমন : বরগুনায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে রোগ নির্ণয় কেন্দ্র এবং ক্লিনিক। অথচ বেশিরভাগ ক্লিনিকেরই নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন। আর যেগুলোর অনুমোদ আছে তাতেও নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। অথচ এ বিষয় নিয়ে প্রশাসনের কোন উদ্বেগ পরিলক্ষিত হয় না। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর ভবনের সামনে টানানো নানা রকম সাইনবোর্ড দেখলেই বোঝা যায় রোগীর দৃষ্টি আকর্ষণে চেষ্টার কোন রকম ত্রুটি করেননি কর্তৃপক্ষ।
বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা বৈধ-অবৈধ মিলে বেশিরভাগ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিত্র একই রকম। মাজেদা ক্লিনিকসহ ১৭টি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার সরকারি অনুমোদন ছাড়াই দিচ্ছে নানা সেবা। এসব ক্লিনিকে ডাক্তার নেই, নেই নার্সও। এদিকে বরগুনা জেলায় অনুমোদিত ১৮টা ক্লিনিকও খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসক নার্সসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছাড়াই। ফলে রোগীদের বিভিন্নভাবে পড়তে হচ্ছে বেকায়দায়।
এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত তদারকি করার কথা থাকলেও তা নিয়ে বিশেষ তৎপরতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। রাজনৈতিক ছত্র-ছায়ায় এইসব অবৈধ ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্র গড়ে ওঠায় নিজের অসহায়ত্বের কথাও জানানোর পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের সাহায্যও প্রত্যাশী সিভিল সার্জন।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল কোর্ট বসানো স্বাস্থ্য বিভাগের এখতিয়ারে নেই, এটি প্রশাসনিক ব্যাপার। একটি ভ্রাম্যমান আদালতে একজন ডাক্তার থাকবে, একজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে, পুলিশ থাকবে। ডিসি সাহেব যদি বলেন তাহলে সেই টিমে আমি ডাক্তার দিতে পারি।’
এদিকে, বরাবরের মত এবারও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলব। এবং যেগুলো অবৈধ ক্লিনিকগুলোতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের আইনের মুখোমুখি করব।’ সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।