মাজাহারুল ইসলাম: মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান স্পারসো’র পরিচালনা পর্ষদে দু’জন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাখার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (সংশোধন) বিল-২০১৬’ এর রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে সামরিক আমলে জারি করা নৌ-বাহিনী সংক্রান্ত তিনটি অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন করার জন্য সংসদে উত্থাপিত ‘নেভি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৬’ এর প্রতিবেদনও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিলদুটি চূড়ান্ত করে সংসদে পাসের সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. মাহ্বুবুর রহমান, মো. ইলিয়াস উদ্দিন, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এবং হোসনে আরা বেগম অংশ নেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী প্রধান এবং সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৬ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিলদুটি উত্থাপন করেছিলেন সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পরে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত স্পারসো আইনে, চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য রাখার বিধান রাখা হয়েছে। এই সার্বক্ষণিক সদস্যদের মধ্যে দুজন থাকবেন এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে সম্পর্কে বলা হয়েছে, স্পারসো গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিবেচনা করে দেখা যায় এর পরিচালনা বোর্ড পুনর্গঠন করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণাধর্মী কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন বিজ্ঞানী বা বিশেষজ্ঞদের বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা প্রতিষ্ঠানের জন্য অধিকতর অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জনে সহায়ক হবে।
এদিকে বৈঠকে জাতিসংঘ শন্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বৈদেশিক ভাতা বিষয়ক নীতিমালা সংশোধনপূর্বক জাতিসংঘ থেকে ট্রপস কসট বাবদ প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বন্টনের এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ভাতা প্রদানের পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। কমিটি জমির সল্পতার প্রতি দৃষ্টি রেখে বহুতল ভবন নির্মাণ করে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং প্রতিরক্ষার সম্পত্তি রক্ষণা-বেক্ষন করার সুপারিশ করে। এছাড়া বৈঠকে প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে বাংলাদেশে বিদ্যমান রানওয়েগুলো রক্ষণাবেক্ষনের পাশাপাশি সিলেটে বিমান ঘাঁটি নির্মাণেরও সুপারিশ করা হয়।