আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মদ হত্যা মামলায় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিনভাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছে আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়।
একইসঙ্গে সব আসামিকে আগামী ১৬ জুনের মধ্যে আদালতে হাজিরেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার বিকালে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দেন।
টাঙ্গাইল কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি মঙ্গলবার এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, আদালতের এ নির্দেশনা জারির পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অন্য আসামিরা হলেন- এমপি রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, এমপিদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙ্গা বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন চাঁন, নাসির উদ্দিন নুর, ছানোয়ার হোসেন ও সাবেক কমিশনার মাসুদুর রহমান।
এর আগে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ১০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এদিকে টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূঁইয়া জানান, আসামিদের মালামাল ক্রোকের আদেশ এখনও তার কাছে পৌঁছেনি।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজ পাড়ায় নিজ বাস ভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদেও গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর নিহত ফারুর আহম্মদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।