ইসহাক আসিফ: ধাত্রীবিদ্যা পেশায় বাংলাদেশের অগ্রগতি কম নয়। যদিও চাহিদার তুলনায় এখনও এই পেশায় জনবল কম হলেও তাদের প্রশিক্ষণ চলছে। ধাত্রীবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা নেয়ার পথও সহজ হয়েছে। ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের বেলা সেন্টারে তৃতীয় গ্লোবাল মিডওয়াইফারি সিম্পোজিয়ামে কথাগুলো বলছিলেন অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত। তিনি বাংলাদেশের সংসদ সদস্য এবং ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য) উপদেষ্টা।
‘ইয়াং মিডওয়াইফস ইন দ্য লিড’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে আফ্রিকা, আফগানিস্তান, লাইবেরিয়া, ইথিওপিয়া, সুইডেন, কেনিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল কনফেডারেশন অব মিডওয়াইফস, ড্যানিশ মিডওয়াইফস অ্যাসোসিয়েশন, নিউইয়র্ক-ভিত্তিক এনজিও উইমেন ডেলিভারসহ বিভিন্ন সংগঠন দুই দিনব্যাপী এ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার, সঠিক নেতৃত্ব আর সদিচ্ছার কারণে ধাত্রীবিদ্যা পেশায় বাংলাদেশের অগ্রগতির বাহবা পেল আন্তর্জাতিক ওই সিম্পোজিয়ামে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের অগ্রগতিকে ‘রোল মডেল’ আখ্যা দিলেন। ৩২ জন তরুণ মিডওয়াইফ (ধাত্রী) নেতা, চিকিৎসক, সাংবাদিক, সরকারি-বেসরকারি ও দাতাগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা নিজ নিজ জায়গা থেকে মিডওয়াইফারি (ধাত্রীবিদ্যা) পেশাকে তুলে ধরলেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি (সিডা) মিডওয়াইফারি পেশার স্বীকৃতিতে বড় দাতাগোষ্ঠীর ভূমিকা পালন করছে। সিডার জ্যেষ্ঠ প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (শিক্ষা ও স্বাস্থ্য) রেবেকা ওরেনিয়াস আলফ্রাম জানালেন, সুইডেনে মিডওয়াইফারি পেশার শুরু ১৭১১ সালে। সরকারের নানা অঙ্গীকারের কারণে দেশটিতে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মায়ের মৃত্যুর ঘটনা নেই বললেই চলে। অনিরাপদ গর্ভপাতে কোনো মাকে মরতে হচ্ছে না।