মমিনুল ইসলাম: আগামি ২৭ মে ভারত-বাংলাদেশ নতুন রেল প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া এদিন সদ্য নির্মিত ব্রডগেজ লাইনের আগরতলা-শেয়ালদাহ, আগরতলা-সিলচর রুটে নিয়মিত যাত্রিবাহি ট্রেন সেবার উদ্বোধন করবেন তিনি। একই সাথে মনিপুর (৫২ কিলোমিটার) ও মিজোরামগামি (৮৪ কিলোমিটার) যাত্রিবাহি টেন সেবার উদ্বোধন করা হবে।
মঙ্গলবার ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের (এনএফআর) এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।- ইকোনোমিক টাইমস।
ত্রিপুরার পরিকল্পনা ও সমন্বয় বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, মোদি একটি আঞ্চলিক পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠানের দুই দিনব্যাপি (২৭-২৮ মে) পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের উদ্বোধন করবেন। এ অধিবেশন মেঘালায়া রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এতে তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও গভর্নরদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন।
২০১০ সালের জানুয়ারিতে নয়াদিল্লি সফরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমহন সিংহের সঙ্গে সাক্ষাত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বৈঠকে ৯৬৮ কোটি রুপির আগরতলা-অখাউড়া রেল প্রকল্পের চূড়ান্ত হয়।
ত্রিপুরার পরিবহন মন্ত্রী মানিক দে সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরা সরকারের ক্রমাগত প্রচেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপে ডোনার মন্ত্রণালয় (উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়) এ নতুন রেল প্রকল্পে ৫৮০ কোটি রুপি দিতে রাজি হয়েছে। ডোনার মন্ত্রণালয় তহবিল সরবরাহ করলে প্রয়োজনীয় ৬৭ একর জমি অধিগ্রহণে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করা হবে।
ভারতের রেল প্রতিমন্ত্রী ম্যানজ সিংহ সম্প্রতি তার ত্রিপুরা সফরে জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ভারত-বাংলাদেশ নতুন রেল প্রকল্পের দেখভাল করছে। তিনি বলেন, ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ (ভারতের অংশে ৫ কিলোমিটার ও বাংলাদেশের অংশে ১০ কিলোমিটার) আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্প, ভারতের উত্তর-পূর্ব ও বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন ও অর্থনীতি ব্যাপকভাবে জোরদার করবে।
গত বছর ঢাকা সফরে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নতুন এ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
ত্রিপুরা মন্ত্রী আরও জানান, আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্পে বাংলাদেশ অংশের জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ করবে। অন্যদিকে ডোনার মন্ত্রণালয়ের তহবিল ভারতের অংশের জন্য ব্যয় করা হবে।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে নতুন এ রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আগরতলা ও কলকাতার মধ্যে ১,৬৫০ কিলোমিটারের দূরত্ব কমে মাত্র ৫৫০ কিলোমিটার হবে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের চারটি রেল সংযোগ রয়েছে।