আবুল বাশার নূরু : ঠিক এই মূহুর্তে আলোচিত বিষয় হলো, একজন সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে স্কুল শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করার ঘটনা। অপরটি বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী গ্রেফতার এবং সাত দিনের রিমান্ড।
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে আসলাম চৌধুরী বর্তমান সরকারকে হটাতে বৈঠক করেছেন। বিষয়টি রাষ্ট্রদ্রোহী মূলক অপরাধ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই ঘটনার সঙ্গে কেবল আসলাম চৌধুরী একাই জড়িত নাকি আরও কেউ আছে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলোর। যারাই জড়িত থাকবেন তারা যেন রেহাই না পান সেদিকে গণমাধ্যম সজাগ দৃষ্টি রাখবে প্রত্যাশা করি।
নারায়ণগঞ্জে একজন স্কুল শিক্ষককে জাতীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতি জনসম্মুখে কান ধরে উঠবস করার ঘটনাটি সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শিক্ষককে অপমান করার দায়ে এমপির বিচার হবে বলে জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ এমপিও একই কথা বলেছেন।
যে এমপির নির্দেশে শিক্ষককে চরম অপমান করা হয়েছে তিনি জাতীয় পার্টির দলীয় এমপি সেলিম ওসমান। বহুল আলোচিত ও সমালোচিত আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি শামীম ওসমানের ভাই তিনি। দলীয় এমপির অপরাধের বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ এখন মুখ খুলেননি। অথচ তিনি মাঝে মধ্যেই দেশে আইনের শাসন নেই, সামাজিক অবক্ষয়, সুশাসন নিয়ে বক্তব্য রাখেন। নিজদলীয় এমপির অপরাধ করেছেন তাই বিষয়টি অন্যায় হয়নি এরশাদের কাছে।