উম্মুল ওয়ারা সুইটি : সৌদি সরকারের সুপারিশে শাস্তি পাওয়া ওমরা এজেন্সি মালিকদের আবার ওমরা কোটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, মন্ত্রিসভায় ২০১৬ সালের অনুমোদিত হজ ও ওমরা নীতিমালার শর্ত ভঙ্গ করে অতিরিক্ত ওমরাযাত্রী পাঠানোরও অনুমতি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানব পাচারে অভিযুক্ত কোনো এজেন্সি ওমরা-হজযাত্রী পাঠাতে পারবে না। তারপরও দ-িত এজেন্সিগুলোকে ওমরাযাত্রী পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সরাসরি না দিয়ে এসব এজেন্সির মালিকদের অন্য এজেন্সি বা তার পরিবারের সদস্যদের এজেন্সির নামে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়াও হজ ও ওমরা নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি ওমরা এজেন্সি যাত্রী পাঠাতে পারবে সর্বোচ্চ ৫০০। কিন্তু কিছু এজেন্সিকে দেড় থেকে দুই হাজার ওমরাযাত্রী পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল জলিল বলেন, নীতিমালায় বলা আছে ৫০০ ওমরাযাত্রী পাঠাতে পারবে একটি এজেন্সি, তবে সরকার মনে করলে এই সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ওমরার নামে মানব পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২২ মার্চ বাংলাদেশের ওমরা ভিসা বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার এবং অভিযুক্ত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। এই সুপারিশ তদন্ত করে ১০৪ এজেন্সিকে জরিমানার পাশাপাশি ওমরাযাত্রী পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া এজেন্সিগুলোর মধ্যে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়শেন অব বাংলাদেশের (হাব) শীর্ষ নেতাদেরও এজেন্সি ছিল। তাদের এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল হলে তারা এবার নতুন করে তাদের বা তাদের পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়ের এজেন্সিগুলোর নামে বরাদ্দ চায়। সম্পাদনা : পরাগ