ওমর শাহ : জান্নাত কেমন? জাহান্নাম কেমন? কোনো মানুষের পক্ষে এর সঠিক কল্পনা করা সম্ভব নয়। যতটুকু বর্ণনা কুরআন হাদিসে এসেছে তা থেকে ধারণা পাওয়া যায় মাত্র। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন, ‘আল্লাহপাক যখন জান্নাত সৃষ্টি করেছেন, তখন জিবরাঈল আ. কে বললেন, যাও জান্নাত দেখে এসো। তিনি গিয়ে জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের জন্য যেসব জিনিস আল্লাহপাক তৈরি করে রেখেছেন তা দেখে এসে বললেন, হে আমার রব! তোমার ইজ্জতের কসম, যে কেউ জান্নাতের অবস্থা সম্পর্কে শুনবে, সে অবশ্যই তাতে প্রবেশ করবে। (অর্থাৎ প্রবেশের আশা করবে)।
অতঃপর আল্লাহপাক জান্নাতের চারপাশ কষ্টদায়ক বস্তুসমূহ দ্বারা বেষ্টন করে দিলেন। এবং পুনরায় জিবরাঈল আ. কে বললেন, হে জিবরাঈল! আবার যাও এবং পুনরায় জান্নাতকে দেখে এসো। তিনি গিয়ে তা দেখে এসে বললেন, হে আমার রব! এখন ওখানে যা কিছু দেখলাম, তার প্রবেশপথ যে কষ্টকর, আমার আশঙ্কা হচ্ছে যে, একজন ব্যক্তিও জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
রাসুল সা. বলেন, অতঃপর আল্লাহপাক জাহান্নাম সৃষ্টি করে জিবরাঈল আ. কে বললেন, হে জিবরাঈল যাও জাহান্নাম দেখে এসো। তিনি জাহান্নামকে দেখে এসে বলবেন, হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম, যে কেউ এ জাহান্নামের ভয়ঙ্কর অবস্থার কথা শুনবে সে কখনো তাতে প্রবেশ করবে না। (অর্থাৎ এমন কাজ করবে যাতে জাহান্নাম হতে বাঁচতে পারে।) অতঃপর আল্লাহতায়ালা জাহান্নামের চারপাশে প্রবৃত্তির আকর্ষণীয় বস্তু দ্বারা বেষ্টন করে পুনরায় জিবরাঈল আ. কে বললেন, আবার যাও এবং দ্বিতীয়বার জাহান্নাম দেখে এসো। তিনি আবার জাহান্নাম দেখতে যাবেন। এবার জাহান্নাম দেখে এসে বলবেন, হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম করে বলছি, আমার আশঙ্কা হচ্ছে যে, একজন লোকও তাতে প্রবেশ করা ব্যতীত বাকি থাকবে না।’
সূত্র : মেশকাত, তিরমিজি, আবু দাউদ ও নাসায়ী