নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির আলোচিত যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিনকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, আসলাম চৌধুরী বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে আসেন। বিএনপির রাজনীতি করার সুবাদে শূন্য থেকে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। জোট সরকারের সময়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দেশের বৃহত্তম আদমজী জুট মিল ভাঙার কাজ নিয়েছিলেন আসলাম। একই সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বেশ কয়েকটি রুগ্ন শিল্প কারখানা ক্রয় করেন তিনি। এর মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে রাইজিং গ্রুপ নামসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
দুদক সূত্রে আরো জানা যায়, আসলাম চৌধুরী তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ দিয়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালিতে কনফিডেন্ট সল্ট নামের একটি লবন কারখানা, চট্টগ্রামে মহাখালীর নাসিরাবাদ ও সাগরিকা সড়কে ফিশ প্রিজার্ভার্স নামের দুটি মৎস্য কারাখানা, কক্সবাজারে শত শত বিঘা জমি, চকরিয়ায় ইনানী রিসোর্টের মালিক হন। অবৈধ সম্পদের মধ্যে আরো রয়েছে ঢাকার গুলশান ও বনানী এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাটসহ শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি।
তার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট হিসেবে বিভিন্ন সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়নে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। চলতি মাসের ১২মে তার বিরুদ্ধে দুই পৃষ্ঠার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে অনুসন্ধান কাজের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।