মাজহারুল হক : অর্থপাচার মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) করা আপিল আবেদনের পরবর্তী শুনানি ২৫ মে নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তৃতীয় দিনের শুনানি শেষে এই দিন নির্ধারণ করেন।
এই মামলায় তারেক রহমান পলাতক থাকায় তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী নিয়োগ করার সুযোগ নেই। তবে মামলায় দ-প্রাপ্ত অপর আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন। এ ছাড়া দুদকের পক্ষে ছিলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, আইন অনুযায়ী ভিসা কার্ড ব্যবহার করে তারেক রহমান মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন। কারণ আইনে বলা আছে, অবৈধ পন্থায় পাচারকৃত অর্থের সঙ্গে যেকোনো পর্যায়ে সংশ্লিষ্টতা থাকলে তা মানি লন্ডারিং অপরাধ ধরা হয়। আংশিক শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৫ মে দিন ধার্য করেন।
২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে তাঁর বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় সাত বছরের কারাদ- দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।
রায়ে কারাদ-ের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমপর্ণের আদেশ দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুদক। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।
অভিযোগ রয়েছে, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তাঁর নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এনটিভি