কায়কোবাদ মিলন: বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে উচ্চ মূল্য ও মানের কৃষিপণ্য উৎপাদনে অধিক গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়েছে। একই সঙ্গে মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও বনায়নের উন্নয়ন ঘটানোর পরামর্শ দেয়। পাশাপাশি কৃষকের আয় উন্নতি ও পুষ্টিমান বৃদ্ধি ও তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করে। খবর সিনহুয়া নিউজের।
‘বাংলাদেশে কৃষিখাতের উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষিখাতে ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধিতে অকৃষিখাতে ৬ ভাগ আয়কে ত্বরান্বিত করে। মঙ্গলবার এই প্রতিবেদনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অকৃষি জাতীয় অর্থনীতিকে উৎসাহিত ও টেকসই করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র বিমোচন, সর্বোপরি পল্লীর অর্থনেতিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিবেদন প্রণয়ন করে।
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ডাইরেক্টর কিমিআও বলেছেন, কয়েক দশকে বাংলাদেশ কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে। লক্ষণীয় হল, স্বল্প পরিমাণ জমি ও ব্যাপক জনবহুল দেশ হলেও প্রায় সকলের আহার জোগাতেই বাংলাদেশ সমর্থ হয়েছে।
চাল উৎপাদন সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি আমলে নিয়ে কৃষি ক্ষেত্রে তিনি বৈচিত্র আনয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। ধান চাষের ক্ষেত্রেই শুধু নয় অন্য কৃষিজাত পণ্যের ক্ষেত্রে গবেষণা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। বিশেষ করে পশুসম্পদ ও মৎস্য খাতের উন্নয়ন, অবকাঠামো গড়ে তোলার কথাও বলেন তিনি। তার মতে, অবকাঠামো ক্ষেত্রে উন্নতি ছাড়া কৃষকের উপযুক্ত মূল্য পাওয়া কঠিন।
এই প্রতিবেদন প্রণয়নে টিম লিডার হিসেবে কাজ করেছেন মাধুর গৌতম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনা নির্বিঘœই। তবে বাজার ব্যবস্থাপনার মান বাড়াতে হবে। দ্বিতীয় মানের শহরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সড়ক উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। সরবরাহ ব্যবস্থাকে আধুনিক করতে হবে।
উল্লেখিত সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। পণ্যের উচ্চ মূল্য ও ব্যাপক মূল্য সংযোজনের ক্ষেত্রে আধুনিক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলার পরামর্শ দেন তিনি। সিনহুয়