সালমা পারভীন : বর্ষা আসার আগেই ভাঙছে পদ্মা, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর তীর। নদীতে স্রোত বেশি থাকা আর প্রকল্প না থাকায় ভাঙন রোধে তেমন কোনও উদ্যোগ নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের। কোথাও কোথাও স্থানীয়রা মাটি ফেলে বাঁধ দেয়ার চেষ্টা করলেও জোয়ারের পানিতে তা ভেসে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর এলাকায় কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বেড়ীবাঁধগুলো ভঙ্গুর অবস্থায় আছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। এবার নদী উত্তাল গ্রীষ্মেই। বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবে জেলার ৮০২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের এক তৃতীয়াংশই ঝুঁকতে। ভাঙন শুরু হয়েছে সুন্দরবন সংলগ্ন বুড়িগোয়ালিনী, হরিনগর, মাদিয়া ও কামালকাটি এলাকায়। পানি ঢুকছে লোকালয়ে।
স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামত করলেও কাজে আসে না তা। বরাদ্দের অভাবে হাত গুটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
রাজবাড়ী ও পাংশায় ছয় বছর আগে নদীতে বাঁধ নির্মাণে ১০০ কোটি টাকার ব্লক আনা হয়েছিল। এই ব্লকের ১০ শতাংশ তখন কাজে লাগানো হয়নি। কিন্তু সেগুলি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই পদ্মার তীর রক্ষায় উদ্যোগ নেই প্রশাসনের।
এই জেলাতেও অপ্রতুল বরাদ্দের কথা বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি থেকে নেয়া