নিউজ ডেস্ক :সিলেট ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন প্রদানের নোটিশ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বেতন তো কমায়নি উল্টো পাঁচ মাসের বেতন আজকের মধ্যে প্রদানের জন্য গতকাল নোটিশ জারি করেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছে অভিভাবকরা। মাত্র একদিনের মধ্যে বেতন প্রদানের ব্যাপারে তারা গতকাল বিষয়টি সিলেটের জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্ধিত বেতন, টিউশন ফি এবং ভর্তি ফি নেয়া বন্ধ করতে নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে সিলেট ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন নেয়া বন্ধ করে দেয়। জানুয়ারি থেকে চলতি মে মাস পর্যন্ত গত এই পাঁচমাসে কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাসিক বেতন নেয়া হয়নি। এদিকে, সোমবার জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত পাঁচ মাসের বেতন একসঙ্গে পরিশোধের জন্য নোটিশ টানিয়েছে ব্লু-বার্ড স্কুল কর্তৃপক্ষ। ন্যূনতম সময় না দিয়ে, মাত্র একদিন ৩১শে মে’র মধ্যেই বেতন পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছেন অভিভাবকরা। সোমবার দুপুরে এ নিয়ে স্কুল ফটকেই সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ জানান অভিভাবকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যেখানে বেতন কমানোর কথা, সেখানে শুধুমাত্র প্রি-নার্সারির বেতন কমিয়ে দু’দিনের মধ্যে পাঁচ মাসের বেতন পরিশোধের চাপ ফেলা হয়েছে অভিভাবকদের ওপর। নোটিশে দেখা যায়, প্রি-নার্সারির বেতন আগে যেখানে ১৫শ’ টাকা ছিল, এখন সেখানে ১২শ’ টাকা করা হয়েছে। নার্সারি ওয়ান থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আগের বেতন ১০০০ টাকাই রাখা হয়েছে। এছাড়া, আগের মতোই ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৮শ’ টাকা এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বেতন ১১শ’ টাকাই রাখা হয়েছে। স্কুলের অভিভাবক আবদুর রকিব বাবলু জানিয়েছেন, একই বেতন যদি দিতে হয়, তবে এতোদিন পর কেন? এখন একসঙ্গে পাঁচ মাসের বেতন আমরা কিভাবে দেবো? কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে আমরা ব্যথিত, মর্মাহত। ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, একদিনে পাঁচ মাসের বেতন পরিশোধ তো সম্ভব নয়। আমি এ ব্যাপারে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। এদিকে, অতিরিক্ত বেতন নিয়ে সিলেটের অন্যতম বিদ্যাপীঠ স্কলার্স হোমেও কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বেতন কমানোর দাবিতে চারটি ক্যাম্পাসের সামনে ইতিমধ্যে মানববন্ধন করা হয়েছে। দেয়া হয়েছে আলটিমেটামও।