রিকু আমির : একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ঘরের এবং স্থানীয় খাবারেই শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব বলে জানানো হয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) মিলনায়তনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে।
বিএমআরসির উদ্যোগে পরিচালিত এ গবেষণার ফলাফল বৃহস্পতিবার বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়।
পুষ্টিমান উন্নয়নের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভা, জামালপুর পৌরসভা ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মোট ৮১ জন মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
এতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্য ও শাক-সবজি ব্যবহার করা হয়। এ গবেষণার আওতায় ৮১ জন শিশুকে নিয়মিত প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয় এবং মায়েদের খাদ্য তৈরির প্রণালী ও খাবার পরিমাণ, খাবার নিয়মাবলী সর্ম্পকে ওরিয়েন্টেশন করা হয়।
৬ সপ্তাহ ধরে নিবিড়ভাবে মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের খাবার দেওয়া হয়। গবেষণা শেষে তুলনামূলক আলোচনায় দেখা যায়, গড়ে প্রতিটি শিশুর দশমিক ৫১ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসচিব সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ খুব কম সময়ের মধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং কোনো দুর্বল প্রজন্মকে নিয়ে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চাই না। এ প্রসঙ্গে তিনি পুষ্টির সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক তুলে ধরেন।
বিএমআরসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক।
গবেষণায় ৬ থেকে ১১ মাসের শিশুদের সর্বোচ্চ দশমিক ৬৩ কেজি ও ২৪ থেকে ৫৯ মাসের শিশুদের সর্বনিম্ন দশমিক ৪৪ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য গবেষণায় ৮০ জন শিশুর আয়রন সন্তোষজনকভাবে বেড়েছে। এছাড়াও অন্যান্য পুষ্টিকণা জিংক, ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন-বি-১২ বেড়েছে।
