সারীফা রিমু: জাপানিরা বিশ্বাস করে ঈশ্বর তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করার জন্য বিশেষ একটি স্থান রেখে দিয়েছেন। তাদের বিশ্বাস, সেখানে গিয়ে লিখে দিয়ে আসলে পূরণ হবে মনের আশা। আর সেটিকে তারা গড়ে তুলেছে মনোবাসনা পূর্ণের মন্দির হিসেবে। দু’হাজার বছরের বেশি সময় ধরে জাপানিররা কাসিমীয়া শ্রাইন মন্দিরে লিখে আসছে তাদের মনের নানা কথা ।
কর্মমূখর জাপানে এক যন্ত্রণার নাম বৃষ্টি। এই হয়তো বৃষ্টি পড়ছে, আবার কিছুক্ষণ পরই প্রখর রোদ । তাই জাপানিরা সার্বক্ষণিক হাতে বহন করে ছাতা । তবে এত যন্ত্রণার মাঝেও বৃষ্টি অপরূপ হয়ে ওঠে জাপানে।
বিশেষ করে দু’হাজার বছরের পুরনো মন্দির কাসিমীয়া শ্রাইনে বৃষ্টি মানেই এক অন্যরকম আবহ । শত শত বছরের পুরনো গাছগুলো বেয়ে যখন বৃষ্টির পানি নেমে আসে তখন সৃষ্টি হয় অপরূপ দৃশ্যের।
এক জন জাপানি বলেন, ‘বিশাল আকৃতির গাছগুলো কিন্তু কয়েকশ বছরের পুরনো । বছরের পর পর এগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে । এখানে যখন বৃষ্টি পড়ে, তখন পুরো প্রকৃতি যেনো সজীব হয়ে ওঠে।’
ইতিহাসবিদদের মতে, পৌরনিক হিসেবে শান্তি এবং বিবাহ বীরত্বের দেবতা র্টাকমিকাজুচি নো ওকামি’র প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে এ মন্দিরটি। সূর্য দেবতা আমাতৈরাসু ওমিকামির নির্দেশনায় তিনি জাপানের লুজোমা শহরে রাজত্ব করেন। জাপানকে ঐক্যবদ্ধ করার পর তিনি সারাদেশে ভ্রমণ করেন। পরবর্তীতে তিনি কাসিমা’য় স্থায়ীভাবে অবস্থান করেন।
মন্দিরের প্রবেশ মুখেই রয়েছে সুন্দর করে সাজানো গেট । তার পাশেই রয়েছে ইশ্বরের আশীর্বাদ পুষ্ট পানি। জাপান ভ্রমণে যাওয়া বাংলাদেশীরাও দেখতে আসেন মনের আশা পূরণের এ মন্দিরে।
জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে দেড়শ কিলোমিটার দূরে কাসিমীয়া প্রদেশের এ মন্দিরে প্রতি বছরের পহেলা সেপ্টেম্বর বার্ষিক অনুষ্ঠান হয় । আর প্রতি ১২ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান জাপানের সম্রাট নিজে উপস্থিত থাকেন।
সময় টিভি থেকে নেয়া