সুজন কৈরী : পুরান ঢাকার হাজারীবাগে ফলের আড়তে অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে ফল পাকানোর অভিযোগে ৫ জনকে দ- প্রদান করা হয়। দ-প্রাপ্তরা হলেন- মো. আলমগীর বিশ্বাস, মো. আক্তার হোসেন, মো. কাবুল হোসেন, নেছার ও মো. বশির।
সোমবার দুপুরে হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খলীল সরদার কৃষি মার্কেটে এ অভিযান চালায় র্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-২ এর এএসপি মো. মিজানুর রহমান মুন্সি জানান, সোমবার ওই মার্কেটের ২৭টি কলা, ১৫টি আম, ২টি লিচু, একটি আনারস ও একটি কাঠালের আড়তে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৩টি কলা এবং ১টি আমের আড়তে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকারক ইথোফনসহ অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান ফল পাকানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। এ অপরাধের দায়ে কাশেম এন্টারপ্রাইজের মালিক আলমগীর বিশ্বাসকে এক মাসের কারাদ-, তাফসির ফল আড়তের মালিক আক্তার হোসেনকে দশ দিনের কারাদ-, শাহ জালাল ফল ভান্ডারের মালিক কাবুল হোসেনকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দশ দিনের কারাদ- এবং থ্রি ষ্টার রাজাপুর বাণিজ্যালয় নামক আমের আড়তের মালিক নেছার ও বশিরকে দশ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেছেন র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিকারক ইথোফন, কার্বাইড, রাইপেন ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান দিয়ে দ্রবণ তৈরি করে কলার ছড়ি এবং আমের ঝুড়িতে স্প্রে করা হয়। এর ফলে কলা ও আম এক থেকে দুই দিনের মধ্যে পুরোপুরি হলুদ রং ধারণ পূর্বক পেঁকে যায়। অথচ এ সমস্ত রাসায়নিক বোতলের গায়েই লেখা রয়েছে ফল পাকানোর কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধ।