দেলওয়ার হোসাইন : দেশের বিভিন্ন এলাকার ১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক পর্যায়ের একাডেমিক স্বীকৃতি দেওয়ার কাজে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিনটি শিক্ষা বোর্ডের সাতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ওই কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাতদিনের মধ্যে ভুলের কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান,গত রোববার এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অন্যতম শর্ত হলো প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক স্বীকৃতি। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের তিনজন হলেন- বোর্ডের সাবেক বিদ্যালয় পরিদর্শক ও বর্তমানে বোর্ডের সচিব শাহেদুল খবির চৌধুরী, কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন ও সাবেক উপ-পরিদর্শক (বর্তমানে অন্য শাখায়) অদ্বৈত কুমার রায়।
অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রাজশাহী বোর্ডের তিন কর্মকর্তা হলেন- বিদ্যালয় উপ-পরিদর্শক মোহা. দুরুল হুদা, মঞ্জুর রহমান খান ও বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবাশীষ রঞ্জন রায়। দিনাজপুর বোর্ডের অভিযুক্ত এক কর্মকর্তা হলেন- বিদ্যালয় পরিদর্শক রবীন্দ্র নারায়ণ ভট্টাচার্য। ভুল তথ্য দেওয়ার সময় কর্মকর্তারা যেসব পদে ছিলেন, সেসব পদের নাম উল্লেখ করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
তবে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন বলেন, তিনি এখনও এ ধরনের নোটিশ হাতে পাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন বোর্ড থেকে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন আসে। সেগুলো যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, ১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসএসসি ও এইচএসসির পরীক্ষার তথ্যে ভুল রয়েছে। কোথাও হয়তো ১৫ হওয়ার কথা, সেখানে ৫১ জন বলে দেওয়া হয়েছে। এসব ভুল ধরা পড়ায় ওই সব প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি আটকে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন ভুল তথ্য দিলেন, সে জন্য অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাখ্যা পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি