সালমা পারভীন : চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতু হত্যার ঘটনায় মোবাইলে ক্ষুদেবার্তার রহস্যের কোনো কূল-কিনারা করতে পারছে না পুলিশ। সন্তানের স্কুলের সময় পরিবর্তনের তথ্য সংক্রান্ত ক্ষুদেবার্তা পাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা আগেই বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা এ ধরণের কোনো বার্তা দেয়নি।
অন্যদিকে, চকবাজারে মোটরসাইকেল ফেলে হত্যাকারীরা ব্যাকআপ হিসেবে থাকা কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে পালিয়েছে বলে পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত
মাহমুদা খাতুন মিতু হত্যার ব্যাপারে পরিষ্কার চিত্র পেতে পুলিশ এসএমএস রহস্যের উন্মোচনের চেষ্টা চালাচ্ছে। রোববার ভোর ৬টা ৩২ মিনিটে গুলি এবং ছুরিকাঘাত করে মিতুকে হত্যার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে হত্যাকারীরা আশপাশে অবস্থান নিয়েছিল। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ থেকে ছুটে যাওয়া হত্যাকারী যুবক ৫টা ৪৯ মিনিটে পায়ে হেটে প্রবর্তক মোড় অতিক্রম করে সেখানে এসে অবস্থান নেয় বলে তথ্য প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। আর রহস্যময় সেই মোবাইল এসএমএস পেয়েই মিতু তার সন্তান মাহিরকে স্কুলের বাসে তুলে দিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাসা থেকে বের হন।
কিন্তু মাহিরের স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এ ধরণের কোনো এসএমএস তারা দেয়নি। এমনকি পরিবর্তন করা হয়নি স্কুলের সময়ও।
চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপাল কর্নেল আবু নাছের মো. তোহা বলেন, ‘কেউ কেউ বলছে এসএমএস গিয়েছে আবার কেউ কেউ বলছে সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে পারি কোন এসএমএস যায়নি। আর সময়ও পরিবর্তন করা হয়নি।’
পুলিশের পক্ষ থেকেও তদন্তে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে এ মোবাইল এসএমএসকে। ঘটনার পর পরই নিহতের মোবাইলেরে খোঁজ না পাওয়ায় এখন তার কললিষ্ট চাওয়া হয়েছে।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত হয়েছেন, হত্যাকা-ের পর মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন প্রবর্তক মোড় এবং কাতালগঞ্জ হয়ে শুলকবহরের বড় গ্যারেজ এলাকায় যায়। তারা সেখানে মোটরসাইকেলটি ফেলে রেখে মাইক্রোবাসে করে চলে যায়।
এখন পর্যন্ত হত্যাকা-ে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার ছাড়া মামলার তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি এমনকি তিনদিনেও গ্রেফতার করা যায়নি হত্যাকারীদের কাউকে।
সময় টিভি থেকে নেয়া