এ কে শান্তনূ : দেশে টার্গেট কিলিং সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদের হত্যা করার প্রক্রিয়া একই রকম। এব্যাপারে সরকার সজাগ রয়েছে ও গোয়েন্দাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই তা করা হচ্ছে। গোপন হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত এক সাংবাদিককে গ্রেফতারে সাংবাদিকদের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে আপনারা কথা বলেন। আবার কেউ যখন হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকে, তাকে গ্রেফতার করলে আপনারা সমালোচনা শুরু করেন।
তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত এক সাংবাদিককে গ্রেফতারের পর আপনারা সমালোচনা শুরু করলেন। তাহলে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না? কাউকে নিয়ে যখন কথা বলি, তখন তো তথ্য থাকে। আই অ্যাম দ্য হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট। আমার কাছে তো তথ্য থাকে। তথ্য ছাড়া কোনো কথা বলি না।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব, জাপান ও বুলগেরিয়া সফর শেষে দেশে ফেরার পর বুধবার দুপুরে গণভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন সফট টার্গেট কিলিং হচ্ছে। এ হত্যাকা-ের ধরন দেখেই বলা যায়, কারা এ হত্যাকা- চালাচ্ছে। তারা এমনভাবে কিলিং করছে, যেন বিশ্ববাসী এ নিয়ে কথা বলে। যারা আগুনে পুড়ে মানুষ মেরেছে, তারাই কৌশল পাল্টে এখন এভাবে টার্গেট কিলিং করছে। যারা দেশের অগ্রগতি চায় না, তারাই আসলে এ হত্যাকা- চালাচ্ছে।
শেখ হাসিনা জানান, সরকারও বসে নেই। হত্যাকারীদের ধরতে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীরও সহযোগিতা কামনা করেন।
শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দেন, বাংলাদেশে কখনোই জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটতে দেওয়া হবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, দু’টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র রয়েছে। কারা জঙ্গিদের দিয়ে মিছিল করিয়েছে, সেটা দেশবাসী ভুলে যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার তিন দেশ সফর নিয়ে বলেন, পর পর তিনটি সফর আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটি সফরে বাংলাদেশের অনেক অর্জন আছে। এই তিনটি সফরে যেসব নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, সেই বিশ্বনেতাদের সবাই বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাদের অবাক করেছে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ওপরে থাকাটা।