গাজী মিরান : বাংলাদেশে যেখানে বিদ্যুতের চাহিদা ১১ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে, সেখানে জনগণ পাচ্ছে মাত্র ৮ হাজার ৪৫০ মেগাওয়াট বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এজাজ আহম্মেদ।
বুধবার যমুনা টেলিভিশনের ‘২৪ ঘন্ট’ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আমি অবাক হয়েছি এখনো আমাদের দেশে ব্যাপক পরিমাণে লোড-শেডিং হচ্ছে। এমনকি, কী পরিমাণ লোড-শেডিং হচ্ছে তার কোনো তথ্য নেই এবং লোড-শেডিং যে হচ্ছে সেটাও সরকার মানছেন না। যা আরও বিরক্তিকর।
ড.এজাজ বলেন, আমার মতে সরকারকে জানাতে হবে কোন কোন সময়ে কী পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন এবং কেনো বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই জরিপের ওপরে ভিত্তি করে সরকারের পদক্ষেপ নিতে হবে। বোরো মৌসুমে, গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায় যা সরকারের বিবেচনায় থাকা প্রয়োজন।
সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আমাদের হিসাব মতে বিদ্যুতের যোগান রয়েছে ১২ হাজার মেগাওয়াটের মত কিন্তু সরকারের হিসাব অনুযায়ী তা ১৫ হাজার মেগাওয়াট। সেখানে জনগণ পাচ্ছে মাত্র ৮ হাজার ৪শ’ ৫০ মেগাওয়াট। এখন আমার প্রশ্ন হলো, সরকার বাকি বিদ্যুতের যোগানগুলো বসিয়ে রেখেছেন কেন?
এ ব্যাপারে জ্বালানি মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, এটাকে লোড-শেডিং বলা যায় না কারণ, আমাদের যথেষ্ট বিদ্যুত রয়েছে। লোড-শেডিং শব্দটা আমরা তখনই ব্যবহার করতে পারবো যখন আমাদের যথেষ্ট বিদ্যুত থাকবে না। আমরা যখন একটি জায়গায় বিদ্যুত দেই তখন অন্য জায়গায় বিদ্যুত সঞ্চলণ বন্ধ রাখতে হয় আর সেই সয়টুকুতেই আমাদের সুশীল সমাজ বিরক্ত হয়ে যায়। আমি আগেও বলছি এখনো বলছি আমরা জনগণের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুত দিতে পারছি না। ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে জনগণের এই চাহিদা পূরণ করতে পারব।