আনাস ভূঁইয়া : খুলনা শহরের কোল ঘেঁষে ময়ূর নদ। একসময়ের খর¯্রােতা এ নদে এখন পানিপ্রবাহ নেই। আবর্জনা আর কচুরিপানায় ভরপুর নদীটি মৃতপ্রায়। প্রতিনিয়ত দখলে নদীর আয়তন সংকুচিত হচ্ছে। কুচকুচে কালো পানি আর দুর্গন্ধে শ্বাস নেওয়া দায় হয়ে পড়েছে।
অথচ মাত্র ১ বছর আগে ৬ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়েছে এই নদের পুরোন রূপে ফিরিয়ে আনার জন্য। কাজ বাস্তাবায়নের করা হয়েছে বলে দাবিও করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও নগর উন্নয়নের কর্তা-ব্যক্তিরা। কিন্তু এই নদটির চেহারা বলছে অন্য কথা। দেখেই বুঝা যাচ্ছে কেমন কারচুপি করা হয়েছে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে।
এই নদের অবস্থা দেখে কেউই বলবে না মাত্র ১ বছর আগে খনন ও পলি সরিয়ে স্বচ্ছ করা হয়ে ময়ূরের পানি। আবর্জনা আর কচুরিপানায় ভরা। নেই কোন পানি প্রবাহ। আগের মতই নোংড়া ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি। অবৈধ দখলে থাকা অংশও খনন করা হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ সব টাকাই বিফলে গেছে। তারা বলছেন, আমরা তাদেরকে বার বার করে আপত্তি করার পরও তারা আমাদের কোন কথা শুনেনি। তারা এখান থেকে অনেক টাকা লুটে নিয়েছে।
নাগরিক নেতারা বলছেন, অনিয়ম আর দায়সারা ভাবে করার কারণে কোন কাজেই আসছে না এই খনন।
খুলনা পল্লী উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা বলেন, তড়িঘড়ি করে করা এবং ইপিসিয়ারলি করতে না পারা এই নব্যতা হারানোর একটি অন্যতম কারণ। যেই কারণে নদী আবার ভরাট হচ্ছে।
খননের কাজ পেয়েছিলো মেসার্স জে বি কনস্টাকসন। দেগপালের দায়িত্ব পেয়েছিলো কর্পোরেশনের নগর উন্নয়ন প্রকল্প শাখা। কাজ শেষে উন্নয়ন পকল্পের দেয়া সার্টিফিকেটের উপর ভিত্তি করে ৬ কোটি টাকা পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। জামানতের ৫৯ লাখ টাকাও ফিরত পায় তারা। ফলে কাজের দায় চুড়ান্ত মুক্তি পেয়েছে জে বি কনস্টাকশন।
স্থানীয়দের দাবি খুব দ্রুতই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং ময়ূর নদকে পুনরায় খনন করে একে বাচানোর দাবি তাদের।