জাহিদ হাসান : ঝিনাইদহে পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে গলা কেটে হত্যার পর থেকে ভয়ে আছেন বেশির ভাগ মন্দিরের পুরোহিত। জেলার ৩৬৫ টি মন্দিরে পূজা-অর্চনা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন ভয়ের কিছু নেই তারা চেষ্টা করছেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার।
ঝিনাইদহ শহরের মহিষাভাঙা এলাকার মন্দিরগুলোতে দিনের বেশির ভাগ সময়ই থাকত পূজা-অর্চণার রেশ। ব্যস্ত থাকতেন পুরোহিতরা। পূজারিদের আনাঘোনায় মুখরিত থাকত মন্দির প্রাঙ্গন। কিন্তু গেল মঙ্গলবার পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে হত্যার পর থেকে বদলে গেছে মন্দিরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। আতঙ্কে আছেন মন্দিরের পুরোহিতরা এবং পূজা দিতেও আসছেন না বক্তরা।
বক্তদের অনেকেই বলছে, আমরা এখন এদেশে কিভাবে থাকব, আমাদের এখন চিন্তাভাবনা ভারতে চলে যাওয়ার। মন্দিরের পুরোহিতরা বলছে, বর্তমান অবস্থায় মন্দিরে পূজা করতে ভয় পাচ্ছি। কারণ আমাদের কোনো নিরাপত্তা নাই।
নিরাপত্তার অভাবে অনেক সনাতন ধর্মালম্বী পরিবার ভিটেমাটি ছেড়ে চাইছেন ভারতে পাড়ি জামাতে। সনাতন ধর্মালম্বী পরিবারগুলো বলছে, তারা ভিটেমাটি বিক্রি না করেই ভারতে পাড়ি দিতে চাইছে। কারণ এদেশে তাদের কোনো নিরাপত্তা নাই।
তবে তাদের আতঙ্কিত না হয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা পুলিশ প্রশাসন। একই সাথে নিরাপত্তা বাড়ানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা সকল এলাকার হিন্দু পুরোহিত এবং যারা বৌদ্ধ ভিক্ষু রয়েছেন তাদের নাম ঠিকানা ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছি। সেই সাথে সাদা পোশাকধারী পুলিশ মোতায়েনসহ টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
জঙ্গিসংগঠন আইএস এ হত্যার দায় স্বীকার করলেও এখন পর্যন্ত হত্যার সাথে আইএস’র সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি পুলিশ।
সূত্র : একাত্তর টিভি