ডেস্ক রিপোর্ট: দেশে চলমান গুপ্তহত্যার ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম উঠে আসছে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, খালেদা জিয়া এখন আক্রমণের মাধ্যমে প্রতিরক্ষার পথ নিয়েছেন। কিন্তু তাতে রক্ষা হবে না।
এইচ টি ইমাম একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে বেয়াদব অভিহিত করে বলেন, কত বড় বেয়াদব হলে প্রধানমন্ত্রীকে নাম ধরে ডাকেন। এটা আর সহ্য করা হবে না।
শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। দলটির ২০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত প্রচার ও প্রকাশনা উপপরিষদের এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, কান টানলে মাথা চলে আসে। সব সূত্র থেকে যদি দেখা যায়, মাথা (খালেদা জিয়া) চলে আসে। এর জন্য আগে থেকেই অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স পদ্ধতি গ্রহণ করেছে তারা (বিএনপি) । কিন্তু এতে কোনো কাজ হবে না।
সব গুপ্তহত্যাই গুছিয়ে এসেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, “আমরাও এই বিষয়গুলো জানি। কিন্তু সব তথ্য প্রকাশ করা যায় না। কীভাবে কখন কোথায় হত্যা করা হচ্ছে, এর যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।
এইচ টি ইমাম বলেন, এই যোগসূত্র থেকে আমরা পাচ্ছি যে, শিবির ও ছাত্রদল এবং তাদের মাথা যারা অর্থাৎ জামায়াত ও বিএনপি। তাদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ, জামায়েতে ইসলামী পাকিস্তান, আলকায়দা, তালেবান, সিরিয়ার আইএস, মুসলিম ব্রাদার হুড, নাইজেরিয়ার বোকো হারাম, সোমালিয়ার আল-সাবাব এরা একই সূত্রে গাঁথা। এরা মানবতার শত্রু।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, পাকিস্তানের এজেন্ট বা দালালরা যারা এদেশে আছে, তাদের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত এ অত্যাচার চলছিল। তাদের মধ্যে কিলিং একটা আর্টে পরিণত হয়েছিল। যাকে আমি বলি আর্ট অব কিলিং। কীভাবে হত্যা করতে হবে, কত দ্রুত করতে হবে, হত্যা করে কীভাবে পালিয়ে যেতে হবে এ সমস্ত কাজে তারা পারদর্শী হয়ে উঠছিল।
এইচ টি ইমাম বলেন, আমরা জানতাম শিবির ও জামায়াত হলো মূল ছত্রছায়া। আর জামায়েতের শক্তি হলো বিএনপি। এরা সব সময় একসাথে কাজ করতো। আর শিবির ও ছাত্রদল এদের মধ্যে আমি খুব একটা পার্থক্য দেখি না। তাদের মধ্যে আছে মানুষ মারার আর্ট। তখন ছিল রগকাটা। তারা জানতো কোন রগটি কাটলে মানুষ দ্রুত মারা যায়। তারপর আস্তে আস্তে বোমাবাজি।
বিএনপির কাছে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা আশা করেন না জানিয়ে ইমাম বলেন, যদি তাই হতো তাহলে বিএনপির নেত্রী আওয়ামী লীগের প্রধান ও দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নাম ধরে ডাকতেন না। কতটুকু বেয়াদব হলে এমন শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলেন। এই আপত্তিকর আচরণ আমার মনে হয় আর কিছুতেই সহ্য করা যায় না।
এর আগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম প্রমুখ।