সালমা পারভীন : সাম্প্রতিক সময়ে বিবিসি বাংলা খুব নি¤œ মানের সাংবাদিকতা করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা না বলে সংবাদ পরিবেশন করা বিবিসির মত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আশা করা যায় না বলে জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী ।
নারায়ণগঞ্জের লাঞ্চিত শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে অপমান করার পর যে ছাত্রকে নিয়ে এই ঘটনা সে ছাত্র ও তার মা প্রথমে একাত্তর টেলিভিশনকে জানিয়েছিলেন শ্যামল কান্তি তাদেরকে ধর্মীয় কোন বিষয় নিয়ে কথা বলেননি। এমনকি তারা স্কুল কমিটির কাছে এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগও করেননি। ছাত্রের মা বলেন, স্যার কোনো গালিগালাজ করেনি।
ছাত্রকে ধর্মীয় ব্যাপার নিয়ে কথা বলায় সে বিচার চাইতে গেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্র বলে, এ ব্যাপারে আমি বিচার চাইতে যাইনি। আমি গেছি আমারে মারছে তার বিচার চাইতে।
অথচ গত ১৭ মে বিবিসি বাংলার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল হিন্দু শিক্ষককে কান ধরে উঠবস : ঘটনার অন্তরালে এই প্রতিবেদনে স্কুল কমিটির সাথে প্রধান শিক্ষকের বিরোধ সংশ্লিষ্ট ছাত্রের অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও মাইকে কেন ও কারা ধর্মীয় উসকানি দিয়েছে তার কোনো অনুসন্ধান না করে শিক্ষককে শিক্ষক হিসেবে না দেখে হিন্দু শিক্ষক বলে উপস্থাপন করা হয়। তাই এ ধরনের প্রতিবেদনকে নি¤œমানের সাংবাদিকতা বলছেন গণমাধ্যম কর্মীরা।
বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, এটি অত্যন্ত নি¤œমানের কাজ হয়েছে। এই ধরনের ব্যক্তি বা সাংবাদিক সে বিবিসির হোক আর যেকোন জায়গায়ই কাজ করুক না কেনো সে একই কাজ করবে। কারণ তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সাংবাদিকতা নয় তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। এটি কিন্তু স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি আরোও জানান, কেউ কেউ তার রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকে বা ব্যক্তিগত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে কাজ করার চেষ্টা হয়েছে এখানে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে কথা না বলেই তার সাথে ইসরায়লী নাগরিক মেন্দি সাফাদীর বৈঠকের খবর প্রচারের ঘটনাতেও বিস্মিত গণমাধ্যম বিশ্লেষকেরা। জয়ের সাথে কথা না বলে এমন রিপোর্ট করায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিবিসির ওয়ার্ল্ড সার্ভিস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাংবাদিকতার একেবারে নি¤œতম শর্ত হলো যার বিষয়ে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে তার মতামত নিয়ে সংবাদটি প্রচার করতে হবে। রিপোর্ট প্রকাশের আগে তার মতামত না পেলে সংবাদটি স্থগিত রেখে আগে তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে তারপর রিপোর্টকে সম্পূর্ণরুপে প্রকাশ করেতে হবে।
বিবিসির মত এমন একটি বিশ্বগণমাধ্যমের কাছে এমন নি¤œমানের সাংবাদিকতা আশা করা যায় না বলে জানান বিশ্লেষকরা।-একাত্তর টেলিভিশন