স্পোর্টস রিপোর্টার : ২৯ মিনিট খেললেন। লিওনেল মেসি নামার পর ভোজভাজির মতো পাল্টে গেল আর্জেন্টিনা দলের চেহারা। দেখতে না দেখতে কোণঠাসা পানামা। কোপা আমেরিকায় নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হ্যাটট্টিক করে ফেলেন মেসি। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বদলী হিসেবে নামার পর হয় ৪ গোল। তাতে শিকাগোতে পানামাকে ৫-০ গোলে হারিয়ে কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে ১৪বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ১৫ জুন বলিভিয়ার সাথে তাদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। এদিন এই ‘ডি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে চিলি ২-১ গোলে হারিয়েছে বলিভিয়াকে।
পানামার বিপক্ষে মেসি খেলবেন। এটা কোচ আগেই জানিয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচ মিস করেছেন ইনজুরির কারণে। কিন্তু এদিনও একাদশে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের নাম দেখা গেলো না। হতাশ ভক্তরা। ডাগআউটে বসে মেসি দেখলেন তার শিরোপা প্রত্যাশী দল প্রথমার্ধ শেষ করলো ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে। মূল্যবান গোলটি খেলার ৭ মিনিটেই করেছেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
বিরতির পরও আর্জেন্টিনার সবকিছু গুড়িয়ে দেওয়ার সেই ছন্দ নেই। কিন্তু ৬১ মিনিটে গ্যালারি নেচে ওঠে। কারণ, সাইডলাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন মেসি! এবারের কোপা আমেরিকায় প্রথমবারের মতো খেলতে নামছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এবং তার মাঠে নামার প্রভাব কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাচে পড়ে!
তখন মাত্র ৮ মিনিট হয়েছে মেসি নেমেছেন মাঠে। খেলার ৬৮ মিনিট। কোপা আমেরিকায় গোল করে নিজের চিহ্নটা তখনই রেখে দিলেন মেসি। পানামার ডিফেন্স একটি বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলো। হিগুয়াইনের গায়ে লেগে বল ঠিক মেসির সামনেই পড়লো। দারুণ ফিনিশিং দিয়ে ব্যবধান ২-০ করলেন মেসি। পানামা হয়তো দুর্ভাগা। হিগুয়াইনের হ্যান্ডবলের মতো মনে হয়েছিল।
কিন্তু মেসির পরের গোলটি নিয়ে কেবল প্রশংসা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না! মৃত বলকে ৭৮ মিনিটে প্রাণ দিয়ে সবার মন মাতালেন এই জিনিয়াস। গোল বক্স থেকে প্রায় ২৫ গজ দুরের ফ্রিকিক নিলেন। দেওয়ালের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে নিখুত নিশানায় বল পাঠালেন। গোলকিপার পুরো শরীর ছেড়ে ঝাঁপালেন। কিন্তু নাগাল পেলেন না। দেখার মতো গোল মেসির!